Bel Syrup-শরবত বেলগিরী ইউনানী ঔষধ
বেল সিরাপ
শরবত বেলগিরী ইউনানী ঔষধ
বিবরণঃ বেল সিরাপ ডায়রিয়া ও আমাশয়ের উপর কার্যকরী একটি প্রাকৃতিক ঔষধ। বেল ও কুড়চি ছালের সমন্বয়ে এটি একটি পরিচিত ও গুরুত্বপূর্ণ ঔষধ যা অতি প্রাচীন কাল থেকেই ডায়রিয়া ও আমাশয় নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
উপাদানঃ প্রতি ৫ মিলি সিরাপে জলীয় নির্যাস আকারে রয়েছে ? ক্র.নং উপাদান | বৈজ্ঞানিক নাম। | পরিমান। ১| বেলের মজ্জা Aegle marmeloss |১০০ গ্রাম কুড়চি ছাল Hollarhena anti-dysenterica | ০.৫০ গ্রাম,| সুত্র: শরবত বেলগিরী, বাজাইফ।
বেল সিরাপে ব্যবহৃত ভেষজ সমূহের ঔষধি গুনাগুন ঃ
১. বেলের মজ্জা: বেল ফলের মধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ রাসায়নিক উপাদান রয়েছে।
73: Surelin, tannic acid, aegeline, marmelisin, marmalade, marmesin ইত্যাদি। বেলের essential oil anti-fungal ও anti-bacterial হিসেবে কাজ করে। যার ফলে এটি সহজেই Shigella, E-coli, (Escherichia coli) Salmonella bacteria'র বিরুদ্ধে কাজ করে এবং ডায়রিয়া ও আমাশয় নিরাময়ে কার্যকর ভুমিকা রাখে। বেল প্রাকৃতিকভাবে রায়ু নিঃসারক, হজমকারক ও পাকস্থলির ব্যথা নিবারক হওয়ার এটি ডায়রিয়া ও আমাশয় নিরাময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
২. কুড়চি ছাল: কুড়চি ছালের গুরুত্বপূর্ণ রাসায়নিক উপাদানের মধ্যে holladysamin, holladysin, cursalin, cursasin, corcillin, conimin, conamin CONCIT ইহা বদহজম, পাকস্থলীর গ্যাস নিরাময়ে সহায়তা করে। ফলে ইহা আমাশয়, ডায়রিয়া এবং কলিক ব্যথা এর উপর খুবই কার্যকর।
রোগে নির্দেশনাঃ ডায়রিয়া, আমাশয় ও আন্ত্রিক ব্যথা।
সেবন মাত্রা ও সেবন বিধিঃ
শিশু: ১২ - ১ চা-চামচ দৈনিক ২-৩ বার।
প্রাপ্ত বয়স্কঃ ২-৩ চা-চামচ দৈনিক ২-৩ বার অথবা চিকিত্সকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ও কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা অন্য ঔষধের সাথে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয় না।
গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে ?
গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে বেল সিরাপ সেবনে তেমন কোন প্রতিবন্ধকতা নেই। তবে, দীর্ঘদিন সেবনের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা জনিত বিষয়ে তথ্য অপ্রতুল।
সতর্কতাঃ বেল সিরাপ দীর্ঘদিন সেবনের ক্ষেত্রে চিকিত্সকের পরামর্শে গ্রহন করা উচিৎ।
সংরক্ষনঃ আলাো থেকে দূরে, ঠাণ্ডা ও শুষ্ক স্থানে সংরক্ষণ করুন। পরিবেশনা প্রতিটি অ্যাম্বার পেট বােতলে রয়েছে বেল সিরাপ ১০০ মিলি ও ২০০ মিলি।
প্রস্তুতকারক: দি ইবনে সিনা ন্যাচারাল মেডিসিন(ইউনানী বিভাগ) সফিপুর, গাজীপুর, বাংলাদেশ।