ভাড়াটিয়া নিবন্ধন ফরম ডাউনলোড HD |ভাড়াটিয়া নিবন্ধন ফরম পূরণ করার নিয়ম।
ভাড়াটিয়া নিবন্ধন ফরম ডাউনলোড HD |ভাড়াটিয়া নিবন্ধন ফরম কীভাবে পূরণ করার নিয়ম। ভাড়াটিয়া নিবন্ধন ফরম পূরণ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
ভাড়াটিয়া নিবন্ধন ফরম পূরণ কার্যক্রম শুরু করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া । বিপিএম সর্বপ্রথম রমনা থানা থেকে সফটওয়্যার ভিত্তিক উদ্বোধন করেন । উদ্ভোধনের পর থেকে এই যাবত পর্যন্ত প্রায় ২১ লক্ষাধিক পরিবারে নিবন্ধন ডাটাবেজ সংরক্ষণ করা হয়েছে ।যার সদস্য সংখ্যা প্রায় ৬১ লাখের ওপরে. । এটি চলমান প্রক্রিয়া ব্যক্তি নিরাপত্তা থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ঢাকা মহানগরীতে বসবাসরত সকল নাগরিককে এই নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে সাহায্য করা নৈতিক দায়িত্ব।
কিভাবে করা যাবে নিবন্ধন
ঢাকা মহানগর পুলিশ কর্তৃক নির্ধারিত নিবন্ধন ফরম টি মহানগরীর প্রতিটি থানায় এবং ফাড়িতে পাওয়া যাবে। যদি কোনো নাগরিক ইচ্ছে করেন তাহলে থানা অথবা ফাঁড়ি থেকে ফ্রম সংগ্রহ করতে পারেন । সংগ্রহকৃত ফরমটি যথাযথভাবে পূরণ করে থানায় জমা দেওয়ার পূর্বে ফটোকপি নিজের কাছে রেখে দিবেন।
ঢাকা মহানগরীর প্রতিটি থানায় এলাকাকে 5 7 বিট ভাগ করা হয়েছে । এভাবে ডিএমপি'র 50 টি থানায় মোট ৩০২ টি বিট রয়েছে । কোন নির্দিষ্ট এলাকায় একটিবিট নম্বর দিয়ে সেই এলাকায় বসবাসরত জনগণের অধিকার পুলিশি সেবা প্রদানের জন্য কয়েকজন এস আই এবং এএসআইসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য নিয়োগ করা হয়েছে।
একটি বিট অফিসার এর একটি সরকারি মোবাইল নাম্বার আছে । যেকোনো নাগরিক পুলিশ সেবা পাওয়ার প্রয়োজন মনে করলে অফিসার ইনচার্জের সাথে যোগাযোগ ছাড়া ওবিট অফিসারের গুপ্ত নম্বরে ফোন দিয়ে কাঙ্ক্ষিত সেবা পেতে পারেন ।
পরিবারের সদস্যদের জন্য একটি নিবন্ধন ফরম পূরণ করতে হবে। ঠিকানা পরিবর্তন করলে সংশ্লিষ্ট থানাকে অবহিত করে নতুন করে ঢাকা মহানগরের যে থানা এলাকায় বসবাস করবে সেই থানায় যোগাযোগ করে নিবন্ধন ফরম পূরণের কাজটি করতে হবে । কোন ব্যক্তির কর্মক্ষেত্র অন্য থানা এলাকায় হলে তিনি যে থানা এলাকায় বসবাস করেন সেই থানায় নিবন্ধনের কাজটি করা উত্তম ।
নিবন্ধিত হলে বাড়ীওয়ালা সুবিধা গুলো কি কি
- কোন অপরাধে বাড়িওয়ালার বাড়িতে অবস্থান করতে পারবে না ।
- ভাড়াটিয়ার কোন অপরাধে বাড়িওয়ালা অহেতুক হয়রানি হবে না ।
- বাড়িওয়ালা ভাড়াটিয়া কে নিবন্ধন এর সকল তথ্য পূরণ করে দিতে বলামাত্রই অপরাধী হলে ফরম পূরণে গরিমশি করবে ।
- অপরাধী হলে ফরম পূরণ না করে পরের মাসেই চলে যাবে ।
কোন অপরাধে সকল তথ্য লিখিতভাবে পুলিশের নিকট জমা দিয়ে অপরাধ করতে সাহস বোধ করবে না । - বাড়িওয়ালার সাথে বিট অফিসার এর ব্যক্তিগত যোগাযোগ থাকায় যে কোনো আইনগত বিষয় প্রয়োজন হলে যোগাযোগ করা সম্ভব ।
- বাড়িওয়ালা তার ভাড়াটিয়া সম্পর্কে নিবন্ধন ফরম টি পুলিশের নিকট উপস্থাপন করতে পারলে অপরাধের দায়ে তখন তার ওপর বর্তায় না ।
নিবন্ধিত হলে ভাড়াটিয়ার সুবিধা সমূহ
- থানা এলাকায় বসবাস করায় সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার এর সাথে পরিচিত হওয়া সম্ভব ।
- অন্য কোন শত্রুপক্ষ বাংলাদেশের যে কোন থানায় মিথ্যা মামলা করলে উক্ত ব্যক্তির ঢাকার অবস্থান দ্বারা প্রমাণ করা যায় ঘটনাটি মৃত্যু হওয়ার আছে ।
- রাতে ঢাকা শহরে চলাফেরায় বিট অফিসার এর সাথে পরিচিত থাকায় পুলিশ হয়রানি থেকে রক্ষা পাওয়া যায় ।
- ভাড়াটিয়া নিবন্ধন ফরম থানায় জমা থাকলে সফটওয়্যার ভিত্তিক ডাটাবেজ সংরক্ষণ করার ফলে একটি স্মার্টফোনের মাধ্যমে যে কোনো সময় যে কোনো ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত হওয়া সম্ভব ।
অপরাধী শনাক্তকরণে পুলিশের সুবিধা সমূহ কি কি
- অপরাধ সংঘটন করে কোন ভাড়াটিয়া পালিয়ে গেলে তার নিবন্ধন ফরম ডাটাবেজ থেকে সংগ্রহ করে পরিচয় বের করে গ্রেফতার করা সম্ভব ।
- কোন সহিত ব্যক্তির জিজ্ঞাসাবাদ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের সহিত নিবন্ধন ফরমেট দেওয়া তথ্যের সহিত মিল না থাকে বোঝা বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়েছে ।তখন পুলিশের আরো গভীরভাবে জিজ্ঞাসাবাদের সুযোগ থাকে ।
- বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়া নিবন্ধন ফরম পূরণ এবং জমা দেওয়া কার্যক্রমে পুলিশ জনগণের কাছে যাওয়ায় পুলিশের সাথে জনগণের সম্পর্ক শেষ সুযোগ তৈরি নিবন্ধনের উল্লেখিত বিভিন্ন তথ্যের মধ্যে কোন না কোন তথ্য থেকে অপরাধী ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায় ।
- ঢাকা মহানগরী বসবাসরত সকল নাগরিকের তথ্য পুলিশের ডাটাবেজ সংরক্ষণ করা থাকলে মানুষের অপরাধ করার প্রবণতা কমবে ।
- নিবন্ধন ফরম পূরণ করে থানায় জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও জঙ্গী প্রতারকচক্র সহ যেকোন অপরাধী একই জায়গায় বসবাস করতে পারবেন ।